অভিবাসী কোটা জালিয়াতির অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এমএসিসি। প্রায় ৪০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির পরিচয় হিসেবে ‘পরিচালক’ ও ‘ভিআইপি’ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (এইচবিএফসি) বরিশাল অফিসের ডিজিএম এম এম জামিল আহম্মদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে খুলনায় দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সবদালডাঙ্গা উমেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মির্জা শিউলি বেগম। এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন তিনি। অথচ শিক্ষক হওয়ার জন্য শিউলি বেগম যে ‘শিক্ষক নিবন্ধন’ সনদ জমা দিয়েছেন, সেটিই ভুয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামানকে জামিন দেওয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান তাকে জামিন দেন।
প্রায় আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হলেও তাঁদের সবার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না। কেবল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছে সরকার। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে নেওয়া রাষ্ট্রীয় ভাতার টাকা সুদসহ ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কারিগরি প্রশিক্ষণের জাল সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মোটরযান পরিদর্শক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক সোমা হোড় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে নিজ দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান। অভিযোগ রয়েছে শামসুজ্জামান নিজে দুদকের মামলা থেকে রেহাই পেতে সংস্থার
ভুয়া দলিল ও এনআইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতি করে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। টার্গেট ছিল আরও ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার। এরপর পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার চিন্তা করে প্রতারক জয়নাল। তবে এর আগেই তাঁকেসহ তাঁর চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল শুক্রবার মিরপুর ডিও
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন একেএম শামসুজ্জামান। নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাঁচ হাজার ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। ৩০-৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা এসব সনদ দেওয়া হতো বোর্ডের আসল সিটে এবং আপলোড করা হতো বোর্ডের ওয়েবসাইটে
নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে অযোগ্য লোক চাকরি পেয়ে যায় এবং সেই চাকরি টিকেও থাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে—এ রকমই এক ঘটনার দেখা পাওয়া গেল পেট্রোবাংলায়। বাবা যখন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক, তখন যোগ্যতা না থাকলেও ছেলেকে ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ দিয়ে এই অকাণ্ড ঘটানো হয়। কাজটি নিশ্চ
শিক্ষা সনদ জালিয়াতির মামলায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাবেয়া খাতুন (৫৬) নামে এক সহকারী শিক্ষিকাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ল্যাবএইড লিমিটেডের (ডায়াগনস্টিক) নোয়াখালী শাখায় রাকিব আহসান (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে কারাদণ্ড প্রদান ও জরিমানা করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী আলীপুর এলাকায় অবস্থিত ল্যাবএইড শাখায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছিলেন।
জাল সনদ দিয়ে চাকরিতে যোগদান করার দায়ে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ নিজেদের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।
নেপালের কংগ্রেসের এমপি সুনীল কুমার শর্মার বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সুনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতের বিহার রাজ্য থেকে একটি জাল সনদ কিনেছিলেন এবং সেটি ব্যবহার করে চীনে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চেয়েছিলেন
জাল সনদের আশ্রয় নেওয়ায় নীলফামারীর ডিমলায় সাত শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে, এসব শিক্ষকের অনেকের দাবি, সনদ জাল না।
শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ মঙ্গলবার এনটিআরসিএ (পরিচালক) মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। প্রথম পর্বে ১৯৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার এই তালিকা প্রকাশের পর রংপুরের ৪ উপজেলার ২৬ জন শিক্ষকের নাম আসে, যাঁরা একেকজন ৮-১০ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাল সনদ ব্যবহার করে শিক্ষকতা করে আসছেন।